চলতি বিপিএলে কোনোভাবেই যেন থামানো যাচ্ছিল না রংপুর রাইডার্সের জয়রথ। টেবিলের শীর্ষে চড়ে, প্লে অফ নিশ্চিতের পরও ক্ষান্ত হচ্ছিল না তারা। শুরুর দিকে ফরচুন বরিশাল আর খুলনা টাইগার্সের কাছে কেবল হেরেছিল রংপুর রাইডার্স। এই দুই দল ছাড়া আর কেউই হারাতে পারেনি রংপুরকে। টানা ৮ ম্যাচে জিতেছে তারা। অবশেষে রংপুরের জয়রথ থামালো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

আজ এমন কিছুই করেছেন। শেষদিকে কুমিল্লার জয় যখন মনে হচ্ছিলো বেশ দূরের ব্যাপার, তখন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল আবির্ভূত হলেন ত্রাতা হিসেবে। তাঁর শেষ দিকের ঝড়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ৬ উইকেটে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্সকে।

টসে জিতে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো কুমিল্লা। খেলার দ্বিতীয় ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। দলীয় ৫ রানে আউট হন বেন্ডন কিং। এরপর ক্রিজে আসা সাকিব আল হাসানকে নিয়ে এগোতে থাকেন ওপেনার রনি তালুকদার। ব্যাক্তিগত ১৪ রানের মাথায় এলবিডাব্লিউর শিকার হন রনি।

তার পরের ওভারেই মেহেদি হাসানের উইকেট খোয়ায় কুমিল্লা। বেশি সময় টিকতে পারেননি অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও। ৪ বলে ২ রান করতে পেরেছিলেন তিনি। একসময় ৩৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে কুমিল্লা। সাকিব নিজের স্বভাবসুলভ খেলাটাই খেলছিলেন। চেষ্টা করেছিলেন চাপমুক্ত হয়ে খেলার। তবে দলকে ভালো কিছু এনে দিতে পারেননি। ১৯ বলে ২৪ রান করে তিনিও প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।

মাঠে নেমে এরপর দলের হাল ধরেন নিউজিল্যান্ডের নিশাম। তিনি বাদে বাকি সবাই ছিল আসা যাওয়ার মিছিলে। নিশামের ইস্পাত কঠিন ব্যাটিংয়ে সম্মানজনক পুঁজি পায় রংপুর।

৪২ বলে ৬৯ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন নিশাম। তার ইনিংসে ৯টি চার এবং ২টি ছয় ছিলো। শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট হারিয়ে কুমিল্লাকে ১৫১ রানের লক্ষ্যমাত্রা দিতে সক্ষম হয় রংপুর।

কুমিল্লার হয়ে ৩টি করে উইকেট লাভ করেন মুশফিক হাসান ও আন্দ্রে রাসেল। দুটি উইকেট শিকার করেন ম্যাথু ফোর্ড এবং আরেকটি উইকেট পান তানভির ইসলাম।

জবাবে ব্যাটে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় কুমিল্লা। অধিনায়ক লিটন ক্রিজের একদিন আগলে রাখলেও অন্যদিকে উইকেটের পতন হচ্ছিলো। শুরুর দিকের ব্যাটারদের মধ্যে সুনিল নারাইন ১৫ রান করেন। তাওহিদ হৃদয় শূণ্য রানে আউট হন। ১৩তম ওভারে দলীয় ১০১ রানের মথায় আউট হন লিটন। মেহেদি ইসলাম খেলেন ২৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস।

শেষ দিকে ব্যাট-বলের হিসেবে কুমিল্লার সামনে জন্য যখন কঠিন সমিকরণ, তখন আন্দ্রে রাসেল তাঁর ব্যাটের জাদু দেখাতে শুরু করেন। মাত্র ১২ বলে ৪৩ করে রংপুরের কাছ থেকে ম্যাচটি ছিনিয়ে নেন।

রংপুরের হয়ে সাকিব আল হাসান ৩টি এবং আবু হায়দার রনি ১টি উইকেট লাভ করেন।